বীজের দাম বৃদ্ধি, বাড়ছে কৃষকদের আবাদ ব্যয়

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে রোপা আমন ধান বীজের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাধ্য হয়ে বেশি দামে বীজ ক্রয় করায় আবাদ ব্যয় বাড়বে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানিয়েছেন। এবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর। এর জন্য বীজতলা হবে ৩৯১ হেক্টর জমিতে। গত বুধবার পর্যন্ত ২২ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা শেষ। কৃষকরা অভিযোগ করছেন, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্যে বীজ বিক্রি করছেন। বেশি দাম দিতে সাধারণ কৃষকদের বাধ্য করা হচ্ছে। কৃষক রাকেশ দাস বলেন, 'কয়েকদিন আগে বি আর-৪৯ জাতের বীজ দশ কেজি ওজনের প্রতি বড়া ১ হাজার ১৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছি। অথচ বস্তার গায়ে মূল্য লেখা রয়েছে প্রতি কেজি ৫৫ টাকা অর্থাৎ এক বস্থার দাম ৫৫০ টাকা। আমি নিরুপায় হয়ে দ্বিগুণ মূল্য দিয়েছি।' ছিদ্দিক আলী মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, বিনা-৭ জাতের বীজ ক্রয় করেছি ৯শ' টাকা বস্তা দরে। এছাড়া বিআর-৪৯ জাতের বীজ বুপনের সময় এলেও বাজারে তা পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য জাতের বীজধানেরও মূল্য বেশি। এতে আবাদের ব্যয় বেড়ে যাবে। কাকাইলছেও ইউনিয়নে ঘরদাইর গ্রামের কৃষক সিরাজ মিয়া জানান, তিনি পুরো বাজার ঘুরে একটি দোকানে বিনা-৭ জাতের ৩ বস্তা বীজ ধান ক্রয় করেছেন ২ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে বিআর-৪৯, ৭৫, ৮৭, ২২, ৫১, ৩৯, ৩৮ ও বিনা-৭, ১৭ জাতের বীজের চাহিদা বেশি। সব জাতের বীজেই অতিরিক্ত মূল নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, বীজের চাহিদা বেশি, এজন্য বেশিমূল্যে বীজ ক্রয় করতে হচ্ছে। তাই মূল্যও দেওয়া হচ্ছে বেশি। এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈজ বলেন, বীজের প্যাকেটের গায়ে যে মূল্য লেখা রয়েছে কৃষক পর্যায়ে সে মূল্যে বিক্রি করতে হবে। তার থেকে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।