শোকবহ আগস্ট স্মরণে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত শোকর্ যালিতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন -যাযাদি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, অতীতেও যেকোনো দুঃসময়ে আমাদের নেতাকর্মীরা এক আহ্বানে রাজপথে চলে এসেছেন। আমরা এটি বারবার প্রমাণ দিয়েছি। জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা চালাতে আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের মোকাবিলা করব। কারণ জনগণ শান্তির পক্ষে, জ্বালাও-পোড়াওয়ের পক্ষে নয়।
শোকবহ আগস্ট স্মরণে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শোকর্ যালিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোকর্ যালি বের হয়।র্ যালিতে নেতৃত্ব দেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শোকর্ যালি শেষে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দুই কন্যা ব্যতীত প্রায় সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকরা। সেই দিবস স্মরণে তারপর থেকে প্রত্যেক বছর সারাদেশেই সেটা আমরা ক্ষমতায় থাকি অথবা না থাকি, সুখে থাকি অথবা দুঃখে থাকি, যেকোনো অবস্থাতে আমরা এই দিবসটিকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করি। শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। তারই অংশ হিসেবে পহেলা আগস্ট রাজশাহী মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা শোক মিছিল করেছি। ধারাবাহিকভাবে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।'
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, 'আর বিলম্ব নয়, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া দরকার। তাদের রাজনীতি করার সুযোগ এদেশের মাটিতে দেওয়া যায় না। এই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা ও তাদের বংশধররা এবং স্বাধীনতার চেতনাধারণকারী কোটি কোটি মানুষ আমরা মাথা উঁচু করে বসবাস করব।'
শোকর্ যালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আসাদুজ্জামান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহম্মেদ লিমন, সিনিয়র সদস্য শামসুজ্জামান আওয়াল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান, মহানগর যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাকির হোসেন বাবু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ প্রমুখ।
