কুমিলস্নার তিতাসের বাতাকান্দি বাজারের জমজমাট নিষিদ্ধ জালের ব্যবসা। প্রতি বুধবার সাপ্তাহিক হাট হিসেবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বড় মসজিদ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নতুন পুরাতন নিষিদ্ধ জাল বিক্রি হয়ে আসছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহের মতো খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা তাদের জালের পরসা সাজিয়ে বসে আছে। অনেকে আবার ছেড়া-ছিদ্র দেখে দেখে দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা একমত হলে জাল ব্যাগে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে হাজির হয় ইজারাদার। নিষিদ্ধ জাল বেচাকেনা হলেও এখানেও আছে ইজারাদার। জালের ক্রয়ের টাকার উপর নির্ভর করে ইজারাদারের টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিলস্নার জেলার দাউদকান্দি, মেঘনা, হোমনা, মুরাদনগর ও দেবিদ্বারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিষিদ্ধ জাল বিক্রির স্থান হলো তিতাসের বাতাকান্দি বাজার। এখানে দুইভাবে জাল বিক্রি হয়। খুচরা ও পাইকারী। মূলত বাতাকান্দি বাজারের জালগুলোই পাশ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলার হাটগুলোতে বিক্রি হয়ে থাকে। অভিযোগ আছে, উপজেলা প্রশাসনের মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই এই জাল প্রকাশ্যে বিক্রি হয়ে আসছে। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট সর্বশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ জাল জব্দ ও একাধিক বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হলেও এখন আর কোন অভিযান চালানো হয়নি।
উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমা আক্তার বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমি বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। অভিযান করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি বদলী হওয়ায় অভিযান চালানো হয়নি। তবে নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করলে আমরা পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেব।'