কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ ও বিএনপি। গত সোমবার বিকালে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, ছাত্র আন্দোলনের একাংশ প্রেস ব্রিফিং করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শহরের ধর্মতলা মোড়ে মিছিলটি গেলে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি শেষ করতে বাধ্য হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে ছাত্র আন্দোলনের যশোর সমন্বয়ক ছাত্রনেতা রাশেদ খান বলেন, 'কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের বন্দুকের মুখে কর্মসূচি প্রত্যাহারের বাধ্য করা হয়েছে, যা আমরা মানি না। ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকেই এখন সমন্বয়ক। সে কারণে ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথেই থাকব।'
এদিকে, একই দাবিতে দুপুর একটার দিকে যশোর জেলা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক রোড থেকে বের হয়। এরপর মিছিলটি শহরের চারখাম্বা মোড়, চিরুনি কল মোড় হয়ে বেজপাড়া তালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
অপরদিকে, সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিং করে যশোরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদের একাংশ। একই সঙ্গে তারা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রম্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন সমন্বিত ছাত্র ঐক্য পরিষদ যশোরের সমন্বয়ক সরকারি এমএম কলেজের শিক্ষার্থী পরশ আহমেদ ও ইয়াসিন আরাফাত। উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সমন্বয়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহফুজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ও ইবরার আলী এবং ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হাসান।