হত্যার প্রধান আসামিসহ চার জেলায় ৬ জন গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামে প্রদীপ নাথ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুকলাল নাথকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মাদক কারবারিসহ তিন জেলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
চট্টগ্রাম বু্যরো জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরের উত্তর চান্দগাঁও নাথপাড়া বড় বাড়ি এলাকায় প্রদীপ নাথ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুকলাল নাথকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত নন্দ কুমার নাথের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকা থেকে সিএমপি'র চান্দগাঁও থানার একটি বিশেষ দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মৃণাল কান্তি মজুমদার নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সুকলাল নাথ ছাড়াও প্রদীপ নাথ হত্যার বাকি আসামিরা হলেন- অজিত কুমার নাথের ছেলে বিজয় নাথ, হিমাংশু নাথের ছেলে কমল নাথ, সুকলাল নাথের ছেলে সুদীপ্ত নাথ, সুবল চন্দ্র নাথের ছেলে স্বপন নাথ ও স্বপন নাথের ছেলে হৃদয় নাথ।
উলেস্নখ্য, গত ১৮ জুলাই আসামিরা প্রদীপ নাথকে একা পেয়ে হেনস্তা করেন। প্রদীপ নাথ এ সময় প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার স্বজনরা তাকে দ্রম্নত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ফেনসিডিলসহ আব্দুল কাদের (৫৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বোয়ালিয়া শিববাড়ীতে অভিযান চালিয়ে ৪০ পিস ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুল কাদের পৌরসভার বোয়ালিয়া শিববাড়ী মহলস্নার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলীতে নাশকতা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার গ্রেপ্তার করার পর তাদের কিশোরগঞ্জ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
\হগ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার ষাইটধার এলাকার মৃত হাছান আলীর ছেলে লাল চাঁন (৩৫), একই এলাকার মির্জালী মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৭) ও নিকলী নয়াহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল রশিদের ছেলে আসাদুজ্জামান সেলিম (৪৬)।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহে পাচারের সময় অবৈধ স্বর্ণ ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে আহত হয়েছে একজন। পরে ওই স্বর্ণ জব্দ করে থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় মালিককে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের স্বর্ণ পট্টিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের স্বর্ণকার পট্টির গিনি হাউজের কর্মচারী মিঠুন একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একটি কার্টুন নিয়ে দোকানে ফিরছিল। পথে কেসি কলেজ গলিতে পৌঁছালে ছয়জন ছিনতাইকারী ওই কার্টুন ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কর্মচারী মিঠুনকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় ঝিনাইদহ সদর থানার এক এসআই সেখানে পৌঁছে মিঠুনকে উদ্ধার করে। পুলিশ দেখে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে পুলিশ এসে ওই কার্টুন খুলে উদ্ধার করে ১৮১ ভরি স্বর্ণালংকার। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ওই স্বর্ণালংকার জব্দ ও গিনি হাউজের মালিক অনিমেষ মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান বলেন, 'আমরা ছিনতাইকারীদের আটকের চেষ্টা করছি। আমরা র্স্বণালংকার জব্দ করেছি এবং এর মালিক অনিমেষ মজুমদারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।