লিচুর পর এবার কাহারোলে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির আম
প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের কাহারোলে বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ সাড়া জাগিয়েছে। কাহারোল উপজেলার সমতল ভূমি হওয়ায় চাষিরা এখন আম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলার ৬নং রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষি মো. মিজানুর রহমান তার সমতল ১০ একর জমিতে মিশ্র বিভিন্ন প্রজাতির আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগানগুলো এখন আমে ভরপুর।
বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালী, ব্যানানা ম্যাংঙ্গ, কিং অব চাকাপাতি, রেড কারলিন, গৌড়মতি, চিয়াং মাইং, বড় লাইকিং, কিউজাইয়িং কার্ডিমুনসহ নানা জাতের আম উৎপাদিত হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতিতে। এসব গাছে ব্যবহার করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক। এতে ভোক্তাদের কাছে অর্গানিক আমের চাহিদা বাড়ায় বাজারে আমের দাম বেশ ভালো। এক জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আমের চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষি। আম পাকা শুরু হলে তা প্যাকেট জাত করে জেলা ও দেশের বিভিন্ন পাইকারি আড়ৎ কিংবা কুরিয়ারের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। বাগানের এই আম কিনতে আসছেন বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা।
আম চাষি মো. মিজানুর রহমান বলেন, একজন ভালো কৃষক নিজের এবং দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। যদি তিনি মননশীল হন। বিগত তিন বছর ধরে বাগানে যে পুঁজি ব্যয় করেছেন, এবার আশা করছেন কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবেন। কারণ এবার বাগানে আমের ফলন বেশ ভালো হয়েছে এবং বাজারেও মোটামুটিভাবে দাম রয়েছে। বাগানের আম আগামী অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মলিস্নকা রানী সেহানবীষ জানান, কৃষকদের প্রকল্পের আওতায় এনে বিষমুক্ত অর্গানিক আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আম এখন দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। অর্গানিকভাবে আম উৎপাদন করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।