টাঙ্গাইলে পুলিশের পৃথক পাঁচ মামলায় আসামি দেড় হাজার

১৮৩ জনকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:২৭

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে তিনটি পুলিশ বক্স ও সাতটি গাড়ি ভাঙচুর এবং ২৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ ও ২২ জুলাই টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ঘাটাইল, মধুপুর ও ধনবাড়ী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করে। পুলিশ দায়েরকৃত পাঁচ মামলায় ১১৯ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, পুলিশ তা জানাতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৮ জুলাই টাঙ্গাইল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আন্দোলনকারীরা শহরের নিরালা মোড় ও কুমুদিনী কলেজ গেট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। এ ছাড়া মধুপুরেও একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই আরিফ রব্বানী বাদী হয়ে গত ১৯ জুলাই রাতে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন কালিহাতীতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কালিহাতী থানার এসআই ইমাম হোসেন বাদী হয়ে সাতজনের নাম উলেস্নখসহ ২০০ জনের নামে, মধুপুর থানায় এসআই মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উলেস্নখসহ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে এবং ধনবাড়ী থানায় ১৫ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে এসআই জহিরুল ইসলাম মামলা করেন। এ ছাড়া ঘাটাইলে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২২ জুলাই এক পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু ছালাম মিয়া জানান, আন্দোলনকারীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ ছাড়া ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও চারজনসহ এ পর্যন্ত ১৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, পুলিশ বক্স ও গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।