রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের পিরোজপুর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদী ভাঙনের হুমকির মধ্যে পড়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয় ভবনটি পদ্মা নদী তীর সংলগ্ন থেকে কয়েকশ' গজের মধ্যে রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দ্রম্নত নদীতে নিরাপত্তারক্ষা বাঁধ নির্মাণ না করলে যে কোনো সময় নদী গর্ভে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো বিলীন হয়ে যেতে পারে।
সরেজমিন পিরোজপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পিরোজপুর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬৭ সালে। বিদ্যালয়ের মূল একতলা বিশিষ্ট মোট দুটি ভবন রয়েছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১৬০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। বিদ্যালয়ের পশ্চিম-দক্ষিণ দিকে বয়ে গেছে প্রমত্তা পদ্মা নদী। কয়েক যুগ ধরে পদ্মার ভাঙনে বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠসহ বিলীন হয়েছে আশপাশে থাকা ফসলি জমি। এভাবে একটু একটু করে প্রতিবছর বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর তীর ভেঙে যাওয়ার ফলে হুমকির মধ্যে পড়েছে বিদ্যালয় ভবনগুলো।
পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদী ছিল। গত কয়েক বছরে নদী ভাঙনের ফলে বিদ্যালয় থেকে নদীটির দূরত্ব কমে আসে প্রায় কয়েকশ' গজ। দ্রম্নত প্রতিরক্ষা বাঁধ না দিলে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো আর রক্ষা করা যাবে না। তাই বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবি জানান তিনি।
প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দীন শেখ জানান, বিদ্যালয়টি রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি। নদীর পানি সরে গেলে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে। তাই তারা চিন্তিত আছেন।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জিও ব্যাগসহ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদা খানম বলেন, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন, যাতে করে বিদ্যালয় ভবনটিকে রক্ষা করতে দ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।