চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি

গোবিন্দগঞ্জে উৎপাদিত ফসল নিয়ে বিপাকে কৃষক

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০৭

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ক্রেতাবিহীন সবজির বাজার -যাযাদি
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং দেশব্যাপী কারফিউ'র কারণে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শাকসবজির বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় এবং অনিয়মিত হওয়ায় স্থানীয় হাটবাজারে পাইকারি ক্রেতা কমে গেছে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল বিক্রি করতে পারছেন না। যে কারণে সবজি ভেদে মণপ্রতি ৪০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত বাজার দর কমে গেছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজির দরে এমন ধ্বস নামার পরও ক্রেতা না পাওয়ায় চরম বিপাকে কৃষকরা। উপজেলার গুমানীগঞ্জ, কামারদহ, কোচাশহর, দররবস্ত, রাখালবুরুজ, শিবপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি উৎপন্ন হয়। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ তৃতীয় বৃহত্তম পটল উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী করার স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি খরিপ মৌসুমে উপজেলার কৃষক ৮৩২ হেক্টর জমিতে পটল, বেগুন, ঢেরস, কদা, চিচিঙ্গা, বরবটি, মুখিকচু, কাঠকচু, লতিকচু, লাউ, পেপে, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদিত হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রচুর সবজির আমদানি বা সরবরাহ থাকলেও পর্যাপ্ত পাইকারি ক্রেতা না আসায় কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে। পৌর বাজারে পটল বিক্রি করতে আসা কৃষক শহিদুল হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগেই পটল বিক্রি করেছেন ১২০০-১২৫০ টাকা মণ দরে। এখন তা ৬০০-৮০০ টাকায় নেমে এসেছে। এরপর ক্রেতা কম থাকায় বিক্রির জন্য বেশ সময় ধরে বসে থাকতে হচ্ছে। বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, বাজারে সব সবজির দাম পরে গেছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে পাইকারি ক্রেতা কম আসায় তারা তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারছে না। ঘণ্টার ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম মণ প্রতি ৪০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এরপরও ক্রেতা মিলছে না। পাইকাররা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ প্রায়। এর ওপর দেশজুড়ে কারফিউর কারণে কাঁচামাল কিনে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায় থাকতে হয় তাদের। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া দিয়ে মোকামে মাল নিয়ে বিক্রি করতে নানা ঝমেলায় পড়তে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা চাইলে সবজি কেনাবেচা এবং পরিবহণের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।