রিজভী-পরওয়ার-নুরসহ ৮ জনের গ্রেপ্তার চায় ডিবি

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতার অভিযোগে কাফরুল থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পলস্নবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী এ আবেদন করেছেন। শনিবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন। আসামিদের মধ্যে ভিপি নুর সেতুভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় এবং আসামি রিজভী পল্টন মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন। এ ছাড়া অপর ছয় আসামি বিটিভি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। এর আগে ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ছয় হাজার আসামি উলেস্নখ করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ ছয়জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন- রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।