সম্প্রতি পবিত্র আশুরা, সাপ্তাহিক জিকির ও প্রশিক্ষণ উপলক্ষে জৈনপুরী দরবার শরীফের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে দোয়া করেন বিশ্ব বিখ্যাত তরিকায় জৈনপুরীর চার তরীকার মুরশিদ আলস্নামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী। সভাপতিত্বে ছিলেন অত্র কমপেস্নক্সের আজীবন সদস্য ও সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন অত্র কমপেস্নক্সের প্রধান উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) ফেনী ৩ আসনের এম পি আলহাজ্ব মাসউদ উদ্দীন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শহীদ লতিফ, আলহাজ্ব ডা. সৈয়দ মতিউর রহমান সুমন প্রমুখ। ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কমপেস্নক্সের মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব সৈয়দ সিরাজ উদ্দৌলা, পৃষ্ঠপোষক সদস্য শিল্পপতি আলহাজ্ব এস এম জিলস্নুর রহমান আজাদ (প্রোঃ রহমান গ্রম্নপ এন্ড ওভারসিস) আজীবন ও কার্যকরী সদস্য আলহাজ্ব শেখ জহীর আহমেদ, আলহাজ্ব কাজী মোশাররফ হোসেন, মীরপুর জৈনপুরী খানকা শরীফের মোতাওয়ালস্নী সাকিল আহমেদ, উপদেষ্টা সদস্য আলহাজ্ব কাজী শহিদুল ইসলাম ও রুহুল আমিন মেহেদী (প্রোঃ ইত্যাদি এন্টারপ্রাইজ) প্রমুখ।
আশুরার ফজিলত বর্ণনা প্রসঙ্গে পীর সাহেব কেবলা বলেন, পবিত্র মহান এই দিনে আলস্নাহতায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন এবং এই দিনেই কেয়ামত সংগঠিত হইবে। এই দিনেই হযরত আদম ও হাওয়া (আ.) এর তওবা কবুল হয়েছিল। হযরত মুসা (আ.)কে ফেরাউনের জুলুম ও অনাচার থেকে মুক্ত করে সাগর পাড়ি দিয়ে নাজাত দিয়েছিলেন আর ফেরাউনকে সাগরে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। এমনিভাবে বিভিন্ন নবী-রাসুলদের বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবলি এই দিনে সংঘটিত হয়েছিল। বিশেষ করে দয়াল নবীজি (সা.)-এর নয়ন মণি হযরত হোসাইন (রা.) স্বপরিবারে কারবালার ময়দানে এই দিনেই শাহাদাত বরণ করেছিলেন। তাই এই ঐতিহাসিক তৌবা ও দোয়া কবুলের দিনে সব মুমিনের দান, ছাদকা, রোজা ও ইবাদতের মাধ্যমে কাটানো উচিত। বছরের শুভলগ্নে যারা ভালো খাবে, পরবে এবং অপরকে খাওয়াবে তারা সারা বছরের বরকত ও রহমতের মধ্য দিয়ে কাটাতে সক্ষম হবেন, ইনশাআলস্নাহ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি