রাঙামাটিতে কয়েকজন ভূমি ও গৃহহীন সাংবাদিকের নামে আবাসন নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জমি দখলে নিতে স্থানীয় একটি চিহ্নিত পক্ষ মরিয়া অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রস্তাবিত জমি দখলে নিতে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী দিয়ে রক্তক্ষয়ী ও প্রাণহানি হামলার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষ। রাঙামাটি সদরের ১০২নং রাঙাপানি মৌজার শহরের বনরুপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি জলডোবা মাঠে এ জমির অবস্থান বলে জানা যায়।
জানা গেছে, ওই এলাকায় 'জার্নালিস্ট কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েটস্ লিমিটেড, রাঙামাটি'র অনুকূলে সংগঠনটির চার সাংবাদিকের নামে আবাসন নির্মাণে ২১ শতক জমি বন্দোবস্তের সুপারিশ করেন মৌজাপ্রধান ও রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। যা এর প্রায় ৯ বছর আগে একটি বন্দোবস্ত ডি)/২০১৪-১৫(১০২) মামলা হয়েছিল। কিন্তু সোহান ইসলাম নামে স্থানীয় এক ভূমিদসু্য শুরু থেকেই জায়গাটি দখলে নিতে অপতৎপরতায় লিপ্ত। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বেশ কয়েক দফায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা যে কোনো মুহূর্তে তাদের ওপর রক্তক্ষয়ী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, বন্দোবস্তর জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটি অনেক আগেই জবানবন্দিতে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। এতে নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করা হচ্ছে।
জার্নালিস্ট কো-অপারেটিভ অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, 'মৌজা হেডম্যানের প্রতিবেদন অনুযায়ী মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠাসহ জমিটি উদ্ধারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রতিপক্ষীয় ব্যক্তি তাতে বাধা দিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা কোনো রেকর্ডপত্র বা দলিলাদি না থাকলেও জমিটি দখলে নিতে মরিয়া চেষ্টায় লিপ্ত।'
অন্যদিকে প্রতিপক্ষীয় ব্যক্তির বাবার নামে স্বল্প পরিমাণের জমি রেকর্ডভুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু আশপাশে প্রায় এক একরের অধিক জায়গা দখল করে রেখেছে তারা।
জায়গা দখলের কথা অস্বীকার করে সোহান ইসলাম জানান, 'আরও আগে থেকে আমাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ করা রয়েছে।'