মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স, অডিটোরিয়াম, পেট্রোলপাম্পসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি।
শনিবার দুপুরে মাদারীপুর ও রাজৈরে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা সার্বিক পাম্প ও বাস ডিপো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পুলিশ সুপার শফিউর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
এছাড়া মস্তফাপুর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান ডিগ্রি কলেজ, মস্তফাপুর পুলিশ বক্স, এরপর সার্বিক পাম্প ও সার্বিক বাস ডিপো পরিদর্শন শেষে গার্ড অফ অর্নার নিয়ে পৌর মুক্তিযোদ্ধা অডিটোরিয়াম, শহরের লঞ্চঘাট এলাকার ১নং পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং বিকালে শহরের শকুনী লেকের পাড়ে এক আলোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী।
এদিকে, দুপুরে জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। এ সময় তিনি বলেন, 'যারা মাদারীপুরে মুক্তিযোদ্ধা কমপেস্নক্স, অডিটোরিয়াম ও পেট্রোলপাম্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করেছে কোনো অবস্থায় তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমরা করব। যেখানে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি আজীবন, সেখানে জামায়াত-বিএনপি-শিবির-ছাত্রদল-স্বাধীনতাবিরোধীরা এত শক্তি কোথা থেকে পেল সেটা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে।'
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরে অবস্থানকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান এমপি বলেন, 'এই অঞ্চলের একটি অত্যাধুনিক পেট্রোল পাম্প, ৩২টি গাড়ি ও টিকিট কাউন্টারগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। কোটা অন্দোলনকারীদের উপর ভর করে আমাদের ভেতর ঢুকে যাওয়া হাইব্রিটরা এগুলো করিয়েছে। কারণ মাদারীপুরে বিএনপি-জামায়াতের এমন শক্তি নেই যে এগুলো করতে পারে। তারা নব্য রাজাকার।'
মতবিনিময় সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সাহাবুদ্দিন মিয়া সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর বিক্রম মেজর জেনারেল অব. হেলাল মোর্শেদ খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আ ফ ম ফুয়াদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরজাহান পারুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা হাসান পলস্নবী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজৈর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শেখ সাগর আহমেদ উজির এবং যুবলীগের আহ্বায়ক রেজন মিয়া।