বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১
জনবল বরাদ্দ ৭২৪ কর্মরত ২৩১ জন

স্বল্প জনবলে চলছে রেলের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
আপডেট  : ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২৩
স্বল্প জনবলে চলছে রেলের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা

দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে অবস্থিত রেলওয়ে বৃহৎ ও একমাত্র কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) স্বল্প জনবল দিয়েই চলছে নির্ধারিত কার্যক্রম। এরই মধ্যে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়েছে আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিনের কমিশনিং ওয়ার্ক। সেই সঙ্গে স্বল্প জনবল নিয়েও নিয়মিত আউট টার্নের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা দেখিয়ে চলেছে এই কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানার প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফলতার সঙ্গে কারখানার সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র বৃহৎ কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় রেল ইঞ্জিনের ভারী মেরামত কাজ হয়ে থাকে। কাজের পরিধি হিসেবে এই কারখানায় যে পরিমাণ জনবল থাকার কথা, বাস্তবে জনবল রয়েছে তার চেয়ে অনেক কম। সংকট রয়েছে খুচরা যন্ত্রাংশের। এছাড়াও বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে দক্ষতা সম্পূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে কারখানার কার্যক্রম।

বিগত কয়েকটি অর্থবছরে এই কারখানায় কাজের নির্ধারিত আউট টার্নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অকেজো রেল ইঞ্জিন মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিকমানের রেল ইঞ্জিন এই কারখানায় কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমদানিকৃত মোট ৪০টি রেল ইঞ্জিন এই কারখানায় কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত হয়েছে।

জানা গেছে, রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় জনবল বরাদ্দ রয়েছে ৭২৪ জন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ২৩১ জন। গত অর্থবছরে এই কারখানা থেকে ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে গেছেন। প্রতি বছরই এভাবে অবসরের কারণে জনবল সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সে হারে জনবল নিয়োগ হচ্ছে না। এই কারখানায় নবনিয়োগকৃত খালাসি দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১ জন। তুলনামূলক নিম্নপদে জনবল বরাদ্দ কম। খালাসি পদে বরাদ্দ রয়েছে ৫০ জন। ফলে আউট সোর্সিং জনবল দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, 'বিভিন্ন সমস্যাসহ জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও কাজ পিছিয়ে নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই এই কারখানার সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত কাজের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে