শায়েস্তাগঞ্জে একাধিক মামলার পলাতক আসামি আটক

তিন জেলায় নাশকতা মামলায় বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৮০

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় ও নাশকতা মামলায় গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির নেতাসহ ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া শায়েস্তাগঞ্জে সাজাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর- গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় করা দুই মামলায় ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই মামলায় ১২৩ জনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা ৫ শতাধিক আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ১৯ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাকা বাদী হয়ে ৭৪ জনের নাম উলেখ করে ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এমারুল ইসলাম সাবিনের ছেলে সৌমিক ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে সিজানকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ জুলাই গাইবান্ধার সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উলেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন। বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার পুলিশ শুক্রবার ভোররাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহরফাড়ীর ভাঙচুরের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নিকলী উপজেলার বানিয়াহাটি গ্রামে সাজেদুল ইসলাম তালুকদার (৫৫) ও একই উপজেলার ষাইটদার হাটির গ্রামের মো. রাকিব মিয়াকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন শহরফাড়ির ইনসপেক্টর রাজিব চক্রবর্তী। গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গাংনী থানা পুলিশ আসাদুজ্জামান বাবলুর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি গাংনী শহরের চৌগাছার বাসিন্দা ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, কয়েক মাস আগে নাশকতার একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, শায়েস্তাগঞ্জে সাজাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি আলোচিত সেই ইলিয়াছকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ইলিয়াছ কারাগারে সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছকে হত্যার চেষ্টাকারী। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ইলিয়াছ আলী ছুটন দাউদনগর গ্রামের কনা মিয়ার ছেলে। ইলিয়াছ জি কে গউছকে হত্যার চেষ্টাকারী ছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জের লেঞ্জাপাড়া গ্রামের সুজন হত্যার মামলার আসামিও সে। ২০১৫ সালে ঈদুল আজহার নামাজের পর হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে জি কে গউছকে হত্যা করতে হামলা চালায় ইলিয়াছ। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। এসব মামলায় সে ২০১৬ সালে জামিনে বেরিয়ে এসে প্রায় শতাধিক মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স সাইলেন্সার বাজিয়ে জেলা জজ কোর্টে মিছিল নিয়ে আসে। এ ঘটনায়ও একটি মামলা হয়। ২০২৩ সালে জি কে গউছের মামলায় ইলিয়াছ আলীর বিরুদ্ধে আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা ইসু্য হয়। এরপর থেকেই সে আত্মগোপনে চলে যায়। গত বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাছেরঘাট নামক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।