ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব কমেছে ১৫০ কোটি টাকা

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

বেনাপোল প্রতিনিধি
চার দিন পর মঙ্গলবার রাত থেকে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও বন্দর থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর আগে গত শনিবার থেকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে দুই পাশের বন্দরে প্রবেশের জন্য প্রায় তিন হাজার ট্রাক পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছিল। বুধবার সকাল থেকে এসব ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে বন্দরে। তবে এই কদিনে ব্যবসায়ীদের ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে এবং সরকারের রাজস্ব আয় কমেছে ১৫০ কোটি টাকা। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাকচালক অমিত জানান, 'ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করতে পেরেছি। গত চার দিনে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আড়াই হাজারের বেশি ট্রাক পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল।' সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী জানান, সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সচলে আটকে থাকা পণ্য বন্দর থেকে খালাস শুরু হয়েছে। তবে কাজে খুব ধীরগতি। ইন্টারনেট স্বাভাবিক না হলে বাণিজ্য পুরোদমে চালানোর সুযোগ নেই। আমদানিকারক সাহেব আলী জানান, গত চার দিনে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জরুরি কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। অনেকের ধারণা, এতে ক্ষতি ১০০ কোটির কাছাকাছি হবে। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো। গত চার দিন আমদানি বন্ধে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সার্ভার বিকল ছিল চার দিন। এতে বন্দরের স্বাভাবিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বাণিজ্যিক কাজ সম্পাদন করা যাচ্ছে।