আজকের যায়যায়দিন

পাবনার তৃণমূল পর্যায়ের নারী-পুরুষ উদ্যোক্তাদের সাফল্যের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় শিল্প এখন ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষ। বিপুল সংখ্যক মানুষ ঝিনুক চাষ শুরু করেছেন। এক বিঘা জমির পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি চাষিরা ৬শ' ঝিনুক উৎপাদন করতে পারছেন। এ সব ঝিনুক থেকে আহরণকৃত মুক্তা শ্রেণি ভেদে ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করছেন। ঝিনুক থেকে মুক্তা চাষের মাধ্যমে খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব বলে তারা জানান। তাদের হিসাব মতে, ১ শতাংশ পুকুরে মাছের চেয়ে লাভজনক মুক্তা চাষ। উদ্যোক্তারা বলেন, পিসিডি মুক্তা চাষে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ সার্বিক সহযোগিতা করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রাম ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (পিসিডি) কার্যালয়ে নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ শীর্ষক ভ্যালু চেন উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে মুক্তার বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শীর্ষক এক লিংকেজ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ মিটিংয়ে এসব তথ্য জানান ঝিনুক চাষি ও উদ্যোক্তারা। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল হাসান শাহীন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী কামাল সিদ্দিকী, মাছারাঙা টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চল বু্যরো চিফ উৎপল মির্জা, বিশিষ্ট সাংবাদিক এসএম আলম, দৈনিক যায়যায়দিনের পাবনা জেলা প্রতিনিধি আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী, দৈনিক কালের কণ্ঠের পাবনা জেলা প্রতিনিধি প্রবীর সাহা, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক বাদশা মোলস্না। সভায় জেলার আটঘরিয়া উপজেলার কন্দপপুর গ্রামের উদ্যোক্তা নাদিরা খাতুন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মুক্তার চাষ করছেন এমনটি দেখে নিজে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। এক বিঘা জমিতে ৬০০ ঝিনুক চাষ করেছি। আশা করছি মুক্তা সংগ্রহে সফলতা পাব।' অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন একাউন্টস অফিসার (রইজ প্রজেক্ট) মাসুদ পারভেজ, সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা খান জাহান আলী।