রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

যশোরের যুবককে লিবিয়ায় পাচার মামলার চার্জশিট, অভিযুক্ত ৪

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
  ২৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যশোরের যুবককে লিবিয়ায় পাচার মামলার চার্জশিট, অভিযুক্ত ৪

যশোরে সুমন হোসেন নামে এক যুবককে লিবিয়ায় পাচার ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় চারজনের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বুধবার আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক লিটন কুমার দাস।

অভিযুক্তরা হলেন যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, তার দুই ছেলে ইকবাল হোসেন ও বিপস্নব হোসেন ও ফেনীর দাগনভুঁইয়া উপজেলার দিলপুর গ্রামে কামরুল উদ্দীন। মামলার বাদী যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শওকত আলী।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের বিপস্নব হোসেন ১০ বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করেন। বিপস্নব হোসেন মাঝেমধ্যে লিবিয়ায় লোক নিতেন। ২০২২ সালে বিপস্নব হোসেন লিবিয়ায় লোক নেওয়ার কথা তার পিতা ও ভাই সুমনের পরিবারকে জানান। সুমনের পিতা তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে আসামিদের সঙ্গে সাড়ে চার লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর আসামিরা সুমনকে লিবিয়ায় পাঠান। সুমন লিবিয়াতে পৌঁছানোর পর পরিবারকে জানান। এরপর পরিবার আসামিদের টাকা পরিশোধ করে দেয়।

২৮ ডিসেম্বর বিপস্নব লিবিয়ার ত্রিপলি শহর থেকে সুমনকে কৌশলে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে সুমনের বাড়িতে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ দাবি করেন। না হলে তাকে হত্যা করা হবে বলেও জানানো হয়। সুমনের পরিবার নিরুপায় হয়ে জমি বিক্রি করে বিপস্নবের দেওয়া বাংলাদেশি একটি অ্যাকাউন্টে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা দেয়। এরমধ্যে সুমন সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে আশ্রয় নেন। পরে বাংলাদেশ দূতাবাস সুমনকে দেশে ফেরত পাঠায়।

২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী সুমন হোসেনের বাবা শওকত আলী। মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত কামরুল উদ্দিন ও বিপস্নব হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে