রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রানা হামিদ (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে মারা যান।
নিহত রানা ৮নং ধলাহরা চন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া তিনি ২০২৪ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, রানা হামিদ উপজেলা নাঙ্গলবাধ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার গ্রাম কাশিনাথপুর পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি প্রাণভয়ে নিলুফা নামে এক নারীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় নিলুফা তার ঘরে তালা দিয়ে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু সন্ত্রাসীরা ঘরের তালা ভেঙে তাকে পিটিয়ে জখম করে রেখে চলে যায়।
এর আগে ২২ জুলাই সোমবার রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা বন্দেরখালি ব্রিজের পাশে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা। চেয়ারম্যান বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার রাতে চেয়ারম্যান ও তার সঙ্গীরা মোটর সাইকেলযোগে তার বাড়ি কুশোবাড়িয়া গ্রামে ফিরছিলেন। এ সময় বন্দেরখালি ব্রিজে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা অস্ত্রধারীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা হামিদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে।
নাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুর রহমান জানান, 'গত কয়েকদিন স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলযোগকে কেন্দ্র করেই আজকের (বুধবার) হত্যাকান্ডটি হতে পারে বলে ধারণা করছি।'
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, 'বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। এখন তদন্ত চলছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।'
Google News ফিড অনসরণ করুন
