রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

রাজারহাটে তিস্তার ব্যাপক ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনের হুমকিতে থাকা তীরবর্তী এলাকা -যাযাদি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় ব্যাপকভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৩-৪ দিনে তিস্তা নদীর ভাঙনে ৫০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের শিকার আরও কয়েকটি পরিবারের অসহায় মানুষজন তাদের বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও কবরস্থানসহ আরও প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নজরদারি না থাকায় ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব খাঁ বড়দরগা গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙনে গত ৩-৪ দিন ধরে সিরাজুল ইসলাম (৩৫), সহিদুল ইসলাম (৩৮), হারুন অর রশিদ (৪৫), আবুল হোসেন (৩৫), আতকুল ইসলাম (৪০), আশরাফুল আলম (৫০), সাহিদুল ইসলাম (৪৬), শফিকুল ইসলাম (৪৮), নুরুল হক (৪০), শামছুল হক (৪০), জিয়ারুল (৩৫), আঃ করিম (৫৫), মফিক ঘাটিয়াল (৩৬) ও আবুল হোসেনের (৩০) বাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। অনেকে তাদের বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে উঁচু, জায়গায়, রাস্তার পাশে এবং অন্যের জায়গায় কোনো রকমে মাথা গুজে আছে। এসব দেখার কেউ নেই। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনের কারণে ভিটে-মাটি ও ফসলি জমিসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় জনসাধারণের সাময়িক দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে এক কেজি মুড়ি, এক কেজি চিড়া, এক প্যাকেট বিস্কুট, মোমবাতি, চারটি খাবার স্যালাইন শুকনো খাবার হিসেবে বিতরণ করা হয় বলে ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানান, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে নগণ্য।

গত মঙ্গলবার রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ওই এলাকার মেম্বার তিনটি বাড়ি ভাঙনের তথ্য দিয়েছে। তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদিজা বেগম বলেন, 'আপাতত আমাদের ত্রাণ ছাড়া কিছু করার নেই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে