রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

এবারের বন্যায় টাঙ্গাইলে ৩০ হাজার কৃষকের ৫৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্যার পানিতে শাড়ির আঁচল দিয়ে মাছ শিকারে মেতে উঠেছে শিশুরা -যাযাদি

এবারের বন্যায় টাঙ্গাইলে প্রায় ২৯ হাজার ৩৩৫ জন কৃষকের ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ১৫ জুলাই ও এর আগের কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বেড়ে এ বন্যা দেখা দেয়। সে সময় জেলার ৬ উপজেলার ১২৩ গ্রামের ৫৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর (টুকুরিয়া প্রাইমারি স্কুল) পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। এ ছাড়া জেলার অভ্যন্তরীণ ফটিকজানি নদীর পানি নলছোপা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েণ্টে ৪ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন জানান, টাঙ্গাইলে বন্যায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়- জেলার ২৯ হাজার ৩৩৫ জন কৃষকের ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সংশ্লিস্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। সরকারি বরাদ্দ পেলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

টাঙ্গাইল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ফাহিম হাসান জানান, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় জিআরের ২০ মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, নগদ অর্থ ও নৌকা দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে