রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

চাঁদপুরে পরিবহণ সংকটে ইলিশের বাজার মন্দা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে নৌকা, জাল, ও শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সাগরে ছুটছেন জেলেরা -যাযাদি

মৌসুম শুরু হলেও কয়েকদিন ধরে ইলিশের বাজার মন্দা। তবে সম্প্রতি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আমদানি বেড়েছে। এতে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশ বাজার। যদিও কারফিউয়ের প্রভাবে ক্রেতা সংকটে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট।

বুধবার দুপুরে শহরের বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের হাঁকডাকে সরব ইলিশ ঘাট। প্রতিদিন ১৫০-২০০ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। তবে কারফিউয়ের কারণে গত কয়েকদিন মাছঘাটে আসা ইলিশ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পরিবহণ সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নবির হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'চলমান পরিস্থিতি ও কারফিউয়ের কারণে গত কয়েকদিন পরিবহণ সংকটে অন্যান্য জেলায় ইলিশ পাঠানো সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীরাও আসতে পারেননি। এজন্য বাজার মন্দা।'

তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা, এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ ১৫০০-১৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ঘাটে মাছ কিনতে আসা হানু চন্দ্র দাস নামের একজন ক্রেতা বলেন, 'ঘাটের কয়েকটি আড়ত ঘুরে দেখেছি, লোকাল ও আমদানি সব ইলিশেরই দাম বেশি। জাতীয় এ মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।'

হাজীগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা মামুন ও মোজাম্মেল বলেন, 'আমরা ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের বাসিন্দা। তারপরও ইলিশের স্বাদ নিতে পারি না। কয়েক জায়গায় দাম শুনে দেখলাম, আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। যদি সাধ্যের মধ্যে পাই তাহলে কিনব।'

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক। তিনি বলেন, গত বছর ইলিশের মৌসুমে এ সময় আড়াই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। কিন্তু এবার অনেক নিচে চলে এসেছে ইলিশের আমদানি। এখন প্রতিদিন স্থানীয় পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে ১৫০-২২০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছরজুড়েই জেলেরা ইলিশ পান। এখন ভরা মৌসুম হলেও সামনে ইলিশের আমদানি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে