নিষেধাজ্ঞা শেষ, সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছেন ভোলার জেলেরা

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা
ভোলায় সাগরে মাছ শিকারে যাওয়ার জন্য জাল মেরামত করছেন মৎস্যজীবীরা -যাযাদি
নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ শিকারে সাগরে যাচ্ছেন জেলেরা। বুধবার ভোর থেকে মাছ ধরার নৌকা, জাল, ও শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সাগরে ছুটছেন তারা। কাঙ্ক্ষিত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ধারদেনা পরিশোধ করে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা তাদের। সরেজমিন দেখা যায়, সাগরে মাছের প্রজনন, সংরক্ষণ ও উৎপাদনের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ভোলার সাত উপজেলার প্রায় এক লাখ জেলে সাগরে যাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন মৎস্যঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। জেলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ ঘাটের জেলে মো. জাকির মাঝি, মো. জিয়া মাঝি ও নজরুল মাঝি জানান, 'মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা মেনে আমরা সাগরে মাছ ধরতে যাইনি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আমরা ফিশিং বোট, জাল ও মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে সাগরে যাচ্ছি।' দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জেলে নুরুল ইসলাম ও আলাউদ্দিন জানান, 'নিষেধাজ্ঞার সময় আয়-রোজগার না থাকায় ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারিভাবে চাল পেয়েও সংসার চালাতে কষ্ট হয়েছে।' মনপুরা উপজেলার শাহিন মাঝি ও জাহাঙ্গীর মাঝি জানান, 'সবার জেলেকার্ড থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ চাল পাইনি। অনেক কষ্টে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি চাল পাই না আমরা।' উপজেলার সামরাজ মৎস্য ঘাটের আড়ৎদার মো. সেলিম ও মো. আলাউদ্দিন পাটোয়ারি জানান, নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের পাইকারি আড়ৎ থেকে দাদন এনে দিয়েছেন। এখন নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকার করে আসলে তাদের বেচা বিক্রি জমে উঠবে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, জেলেরা সাগরে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ শিকার করে হাসি মুখে তীরে ফিরবেন। বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা। জেলার সাত উপজেলা সাগরে মাছ শিকার করা নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৬৯ হাজার। নিষেধাজ্ঞার সময় সব জেলের নামেই ৮৬ কেজি করে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।