প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন করিডরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। ক্লাস-পরীক্ষা, প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক সব কাজ বন্ধ রেখে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
প্রত্যয় স্কিম বাতিল, সুপার গ্রেড প্রদান ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদানের ৩ দফা দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে একাত্মতায় ওই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
অন্যদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিল, বেতন স্কেল ও গ্রেড বৈষম্য এবং চাকরির বয়সসীমা বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা। এর আগে একই দাবিতে ১ জুলাই থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতায় এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রত্যয় স্কিম বাতিল ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দুই দফা দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি। বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, 'আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সরকার বার বার আমাদের আশ্বাস দিয়ে রাখছেন। দাবি মেনে নিলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজ স্বাভাবিক হবে।'
বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, 'প্রত্যয় স্কিমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বেতল স্কেল বৈষম্য, গ্রেড বৈষম্য ও চাকরির বয়সসীমার বৈষম্য দূর করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।'
৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মচারীদের আন্দোলনও চলমান থাকবে।