সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের তেকানী ইউনিয়নের পানাগাড়ী এলাকায় যমুনা নদীভাঙন থেকে রক্ষায় সাড়ে ৩ কিমি বন্যা নিয়ন্ত্রণ কাজ শুরু হওয়ায় ভাঙনকবলিত প্রায় ১০ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। বাঁধটি স্থায়িত্ব পেলে জনপদের হাজারও মানুষের জীবন-জীবিকার পথ সুগম হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের বন্যার শুরুতে যমুনার একটি শাখা নদীর প্রচন্ড ভাঙনে তেকানীর পানাগাড়ী এলাকার হাড্ডিখোলা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। সপ্তাহান্তের ব্যাবধানে ভাঙনে সরকারি আধা-সরকারি মিলিয়ে শতাধিক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়। এতে দেড়শ' একর জমিসহ কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়। শুধু তাই নয়, কাজিপুরসহ পার্শ্ববর্তী মেছড়া ইউনিয়নের বেশকটি গ্রাম ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তেকানীতে যমুনার শাখা নদীর বামতীর রক্ষা বাঁধের দাবিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের কাছে দাবি জানান। সেই প্রেক্ষিতে চলতি বছরের শুরুতে পানাগাড়ী ফ্লাড সেন্টার বেড়িবাঁধ থেকে তেকানীর মধ্যে চর পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। বাঁধটি ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলতি মৌসুমে শেষ হবে বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাঁধ ণির্মাণে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
বাঁধটির সার্বক্ষণিক তদারকিতে নিয়োজিত তেকানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বিএসসি জানান, বাঁধ নির্মাণ হলে উত্তরে খাসশুরিবেড় হতে দক্ষিণে মেছড়া পর্যন্ত প্রায় ৮-১০টি গ্রাম ও জনপদ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর নদী সিকস্তি আবাদিজমিতে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় মোবাইলে জানান, বাবার জীবদ্দশায় যমুনার ডানতীর সংরক্ষণ করে কাজিপুরকে ভাঙন থেকে রক্ষা করেছেন। চরের লোকজনের ডানতীরের মতো বামতীরও রক্ষার দাবি ছিল। বাবা আজ নেই কিন্তু বাবার অসমাপ্ত কাজ আমি সমাপ্ত করার চেষ্টা করে যাব।