গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দক সামান্য বৃষ্টিতেই পানিতে ডুবে থাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি হওয়ায় ১ কিলোমিটারের শহর এলাকা পারাপার হতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে প্রতিদিন যানজটে নাকাল শহরবাসীসহ এই মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক-যাত্রী সাধারণ। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অথবা তাড়াহুড়ো করে চালাতে গিয়ে মাঝে মধ্যে যানবাহন উল্টে হতাহতে ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা- রংপুর মহাসড়কটি এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রক্েল্পর আওতায় গোবিন্দগঞ্জ শহর এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য মহাসড়কের দুই পাশে শহর এলাকার দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। ভেঙে ফেলা স্থাপনার রাবিস জঞ্জাল মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখায় এই স্থানগুলোর মাটি নরম ও কাদায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো সড়ক দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার অভাবে খানাখন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে বর্ষাকালের টানা বৃষ্টিতে পান্থাপাড়া থেকে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারজুড়ে চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে এই মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ শহরের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, 'দিনে যানবাহন উল্টে গেলে তবু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেই যানবাহন উদ্ধার করে। কিন্তু রাতে কোনো যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হলে উদ্ধার না হওয়ায় শহরের যানজট তীব্র হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মককর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'আমরা কাজ শুরু করেছি। আবহাওয়ার অবস্থা ভালো হলেই কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।'
গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার মাহবুর রহমান বলেন, 'যানজট নিরসনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় খানাখন্দকে আটকে পরে ও চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহনের ধীরগতির কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।'