যশোরে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোর-ঢাকা রুটে পাঁচ ট্রেন, ঐতিহ্যবাহী গদখালী রেলস্টেশনটি পুনরায় চালুসহ ছয় দফা দাবিতে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন গদখালির ফুলচাষিরা। রোববার দুপুরে গদখালী রেলস্টেশন চত্বরে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির আয়োজনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-যশোর রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন। রোববার দুপুরে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সদস্যরাসহ গদখালীর ফুলচাষি, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী গদখালি রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করেন। এ সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরোধ করেন তারা। অবরোধকালে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, জিলস্নুর রহমান ভিটু, ঝিকরগাছা উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুর রহমান রশীদ, গদখালী বাজার কমিটির নেতা ডাক্তার কামাল হোসেন, গদখালী স্বজন সংঘের নির্বাহী পরিচালক সুভাষ ভক্ত বাবু, যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য সেলিম রেজা প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন- যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মীর ফারুক হোসেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গদখালী রেলস্টেশনটি ব্রিটিশ আমলে নির্মিত। পরে ভারত, পাকিস্থান ও বাংলাদেশে যখন এক রাষ্ট্র ছিল তখনও এই স্টেশনটি চালু ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই রেললাইন ও স্টেশনও চালু ছিল। পরে বেনাপোল রেললাইনটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে তা চালু হলেও গদখালী রেলস্টেশনটি চালু হয়নি। গদখালীর ফুলচাষিরা এই স্টেশন চালু করে গদখালীর ফুল ট্রেনে করে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় পরিবহণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। একই সঙ্গে যশোরবাসীর ছয় দফা দাবিও তুলে ধরেন।