মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

চাঁদপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

চাঁদপুর প্রতিনিধি
  ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

চাঁদপুরের জেলেদের বরাদ্দকৃত ৬.৭২ মেট্টিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক চাঁদপুর।

সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগটি মামলায় রূপান্তির হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করি। এতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪.১ মেট্টিক টন কম পাওয়া গেলেও পরে সব কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬.৭২ মেট্টিক টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্যগুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪.১ মেট্টিক টন কম পান। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩.৬৮ মেট্টিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও ওই চালের গোডাউন সিলগালা করে দিতে বলেন এবং গোডাউনটি সিলগালা করা হয়।

এই বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তিরত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্য প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আদালতের নির্দেশক্রমে সিলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে