সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, গতানুগতিক ব্যবসা সংস্কৃতিতে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ওই লক্ষ্য পূরণের জন্য ইনোভেশন ইকোসিস্টেম, উদ্যোক্তাভিত্তিক সাপস্নাই চেইন এবং স্টার্টআপ কালচার প্রয়োজন।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ার অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন পলক।
তিনি বলেন, 'আমাদের স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট এমপস্নয়মেন্ট জেনারেট করার জন্য সরকারের একার পক্ষে কিংবা বেসরকারি খাতের একার পক্ষে ট্র্যাডিশনাল কোনো বিজনেস কালচার দিয়ে সেটি পূরণ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন একটা ইনোভেশন ইকোসিস্টেম, উদ্যোক্তাভিত্তিক সাপস্নাই চেইন, প্রয়োজন একটা স্টার্টআপ কালচার।'
পলক বলেন, 'আমাদের স্টার্টআপ সামিটের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চান, চারটি স্তম্ভের উপর ভিত্তি করে; স্মার্ট সিটিজেন, ইকোনমি, গভর্নমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি। এই চারটি পিলার আমরা সবাই মিলে গড়ে তুলব।'
নিজের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'এই স্টার্টআপ আইডিয়া আমি প্রথম পেলাম যখন আমি তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম সিলিকন ভ্যালি গেলাম। সেখানে দেখলাম কীভাবে আসলে স্টার্টআপদের একটা জায়গায় কমন স্পেসের সুযোগ দেয়। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে আমরা কানেক্টিং স্টার্টআপ শুরু করলাম।'
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট হয়। বর্তমানে দেশে শহর ও গ্রামীণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে ২,৫০০ সক্রিয় স্টার্টআপ কোম্পানি।
এশিয়ার দ্রম্নতবর্ধনশীল সম্ভাবনাময় বাজারগুলোতে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ঢাকায় বসছে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৪।
আগামী ২৭ ও ২৮ জুলাই রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ বছরের দুদিনের এই সম্মেলন হবে।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড'র আয়োজক।
বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, এন্টারপ্রাইজ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, থিংক ট্যাংক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা দুদিনের এই আয়োজনে অংশ নেবে।
এ বছরের সামিটে প্রধান খাতগুলোর সেশনে ফিনটেক, জলবায়ু, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, লজিস্টিকস ও মোবিলিটি, ইমপ্যাক্ট এবং আরএমজি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়া এবারের সামিটে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ, স্টার্টআপ এবং ইকোসিস্টেম প্রদর্শনী, পিচিং ইভেন্ট, বিনিয়োগকারী ম্যাচমেকিং শেখার সুযোগ এবং নীতি আলোচনা থাকবে।
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, স্টার্টআপ সামিটের পার্টনার উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির রহমান তানিম, এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।