থমকে আছে নাভারণ-গোড়পাড়া সড়কের ব্রিজ নির্মাণ কাজ
প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি
স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য থমকে আছে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ হতে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে বেতনা নদীর ওপর চলমান ব্রিজের নির্মাণ কাজ।
বহুদিন পরে উপজেলার কাজিরবেড় ও গাতিপাড়াসহ এ অঞ্চলের মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য থমকে গেছে নির্মাণ কাজ।
ফলে এই সড়ক ব্যবহারকারীসহ স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি চরমে। অতিদ্রম্নত ব্রিজ দুটির নির্মাণ কার্যক্রম শেষ করার দাবি এ অঞ্চলের মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, শার্শা উপজেলার নাভারণ হতে গোড়পাড়া সড়কের পৃথক দুটি স্থানে ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৯ জানুয়ারি ২০২২ এ শুরু হয়ে ৩ জুলাই ২০২৩ এ শেষ করার তারিখ নির্ধারণ করে যশোরের আইসিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
দীর্ঘদিনের পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে ৬০ মিটার লম্বা ব্রিজ দুটি তৈরির কাজ হাতে নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ (এলজিইডি)। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি একই সঙ্গে দুটি ব্রিজের কাজ শুরু করলেও শুরু থেকেই নির্মাণ কাজ কচ্ছপ গতিতে চালিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ব্রিজ নির্মাণ কাজের নির্ধারিত বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও কার্যজটিলতায় দুটি ব্রিজের কাজ সব মিলিয় ৮০ ও ৬০ শতাংশে এসে থেমে রয়েছে।
এই সড়ক ব্যবহারকারী ও এলাকাবাসীরা বলেন, ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজের বাস্তবায়ন করতে আমাদের অনেক দিন ধৈর্য ধরতে হয়েছে। ব্রিজের পাশাপাশি এটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। তাছাড়া এই সড়কে ব্রিজ দুটি দৃশ্যমান হলে ব্যবসা বাণিজ্যে গতি বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী।
উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুটি ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। কার্য জটিলতায় সময় পার হয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সামনে অতিদ্রম্নত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা জানান।
তবে ব্রিজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট হওয়ার কথা জানান শার্শা উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের শীর্ষ অফিসার এমএম মামুন হাসান। তিনি বলেন, একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকাবাসীর। ব্রিজ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দুই গ্রামের মানুষসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা চৌগাছার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক রচিত হবে। কার্য জটিলতায় কাজ বন্ধ থাকলেও খুব শিগগির যেন আবারও কার্যক্রম চালু হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।