যশোর জংশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চারটি ট্রেন চলাচলসহ ছয় দফা দাবিতে যশোর ক্লাবে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর যশোর রেলযোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে ঢাকাস্থ যশোর সমিতির এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শুক্রবার রাতে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কাওসার আলী। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটালের প্রধান নির্বাহী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. এমএ রশিদ। যশোর সমিতির সভাপতি প্রফেসর এমএ রশিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রউফ ও আশিক।
সভায় যশোর সমিতির সভাপতি ডা. এমএ রশিদ বলেন, বৃহত্তর যশোরের সবাইকে দাবির পক্ষে এক কাতারে আনতে হবে। ৫টা ট্রেনের দাবিতে আমরা লড়ব। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে জেলার সকল সংসদ সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় শেষ করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বক্তারা দর্শনা থেকে দুটি ও বেনাপোল থেকে দুটি ট্রেন, যমুনা সেতু হয়ে একটি ট্রেন চালু করা, প্রতিদিন ঢাকায় অফিস করার জন্য সময় সময়সূচি করে ট্রেন চালু করা, রেলের ভাড়া বাস ভাড়ার চেয়ে কম রাখা ও সাধারণ বগির ব্যবস্থা করা, তরকারি, মাছ ও ফুল পরিবহণে আলাদা বগি চালু করা, জাতীয় পরিচয়পত্র বাদে বিকল্পভাবে টিকিট বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, যশোরকে বঞ্চিত রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রাচীন ও এদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জনপদ যশোর। এ শহরের রেলওয়ে একটি জংশন, যা সারাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য ও যাতায়াত যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক বড় ভূমিকা রেখে চলেছে। তারা আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যশোরের মানুষের যে স্বপ্ন ছিল, তার মৃতু্য ঘটতে চলেছে।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নেতা মাহবুবুর রহমান মজনু, প্রেস ক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, বৃহত্তর যশোর রেলযোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, জিলস্নুর রহমান ভিটু, সদস্য সচিব রুহুল আমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান মিলন, সদস্য হারুন অর রশিদ, অ্যাডভোকেট শহীদ আনোয়ার, হাসান হাফিজুর রহমান, ডক্টর মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।