ব্রহ্মপুত্র নদে পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো বসতবাড়ি থেকে পানি নামেনি। ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে এখনো পানি বিপৎসীমার ৯ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর চিলমারী পয়েন্টের গেজ রিডার জোবায়ের রহমান জনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরেজমিন বন্যা দুর্গত বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, নদে পানি নামতে শুরু করলেও এখনো নিম্নাঞ্চল এলাকার বসতবাড়ি তলিয়ে আছে। ১০ দিনের বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বন্যা কবলিত মানুষ।
নয়ারহাট ইউনিয়নের উত্তর খাউরিয়া এলাকার মাইদুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে স্বল্প সময়ে পস্নাবিত হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বিগত বছরের মতো এবার কেউই দুর্যোগকালীন সময়ের পূর্বপ্রস্তুতি নিতে পারেনি। তাই দুর্ভোগ বেড়েছে। তিনি আরও জানান, বানভাসি পরিবারগুলো বসতবাড়িতে বাঁশের মাচান, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বানভাসি এলাকায় চারণভূমি তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট।
রমনা জোড়গাছ বাঁধ এলাকার আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বানভাসিদের অনেকেই গবাদিপশুসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, নদে পানি কমতে শুরু করলেও এখনো তার ইউনিয়নের চর ও দ্বীপচর তলিয়ে আছে। অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা।