কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় মাদক চোরাচালান ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এ উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী ও কাশিপুর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত এলাকাগুলো দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে মদ, ফেনসিডিল, স্ক্যাপ, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক।
এর মধ্যে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোড়কমন্ডপ, ফুলমতী, ধুলারকুটি, বালাটারী, বালারহাট, খালিশা কোটাল, জায়গীরটারী সীমান্ত মাদক চোরাচালানের প্রধান রুট। এসব সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনেই অসংখ্য মাদকের চালান ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
এখানে পুরুষদের সঙ্গে মাদক চোরাচালানে যুক্ত হচ্ছে নারীরা। এই সীমান্ত এলাকাগুলোয় দিনদিন নারী মাদক চোরাচালানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীরা বোরকা পরে তার ভেতর মাদক বেঁধে দেশের বিভিন্ন স্থানে সশরীরে মাদক পাচারে জড়িয়ে পড়ছে।
এরই ধারাবাহিতায় নাওডাঙ্গা সীমান্ত থেকে শরীরে মাদক বেঁধে মাদক পাচারের সময় গত ১১ জুলাই ফুলবাড়ী সেতু এলাকা থেকে গাঁজাসহ দুই নারী মাদক চোরাচালানিকে আটক করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
আটক নারী মাদক চোরাচালানিরা হলো ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব-ফুলমতী গ্রামের জোহরা বেগম (৪৫) ও সাবেরা বেগম (২৫)। এসব নারী অটোরিকশার যাত্রীবেশে বিশেষ কায়দায় শরীরে গাঁজা বেঁধে মাদক পাচারের চেষ্টা করেছিল।
আটক দুই নারী মাদক ব্যবসায়ীর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের জানান, আটক দুই নারী মাদক চোরাচালানির বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। কুড়িগ্রামে মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।