দামুড়হুদায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
রাতের অন্ধকারে চলছে খনন
প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
অনুমোদন ছাড়াই চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মদনায় ফসলি জমিতে অবাধে পুকুর খনন করছে। মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে, হুমকির মুখে বসতবাড়ি। ফসলি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন ইটভাটায়। নেই সরকারি অনুমোদন।
সন্ধ্যার পর এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। গ্রামের ভিতরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। গ্রামবাসী নিষেধ করা সত্ত্ব্বেও কারো কথা শুনছে না জমির মালিক আতিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা দক্ষিণপাড়ার গ্রাম সংলগ্ন বাড়ির ধারে আতিকুল ইসলামের জমিতে গিয়ে দেখা যায়, এস্কেভেটর দিয়ে ধানি ফসলি জমি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। ৮টি ট্রাক্টর লাইন ধরে পর্যায়ক্রমে মাটি বোঝায় করে বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে।
অভিযুক্ত আতিকুল ইসলাম বলেন, 'কোনো সমস্যা নেই। অনুমোদন আছে কি না জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেয়নি। আতিক বলেন, 'আমি হলাম কৃষিবিদ ড. হামিদুল ইসলামের চাচাতো ভাই। তাছাড়া ভাটা মালিকরা জানেন। তারপর মাটি বিক্রি করতে পারেন কি না জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
গ্রামবাসী জানান, ফসলি জমির মালিক মাটি কাটার জন্য ইট ভাটার ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তি করে এই কাজ করছে। মাটি বহনকারী ট্রাক্টরের দাপটে প্রধান সড়কসহ গ্রামের রাস্তা ও যানবাহন চলাচলের অন্যান্য সড়কগুলোর চরম ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি এসব গাড়ি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে চলাচলকারীর শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি মাটি বহন করার সময় ধুলাবালিতে পথ চলাচলকারী সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
একাধিক সূত্র জানায়, ফসলি জমির সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে গাড়িপ্রতি পাঁচশ' থেকে ছয়শ' টাকায়। এইসব গাড়ির কারণে সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আশপাশের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন, 'আমি সংবাদ পেয়েছি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'