ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনের সঙ্গে স্পেনের পেস্নমেকার দানি ওলমো এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু ওলমো বলেছেন, এই মুহূর্তে তার চিন্তা শুধুমাত্র স্পেনের শিরোপা জয়কে ঘিরে, ব্যক্তিগত পুরস্কার নিয়ে তিনি মোটেই ভাবছেন না। স্পেন রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরোর শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে।
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল্ডেন বুট জিততে ফাইনালে গোল করতে হবে দানি ওলমোর। তবে এই পুরস্কার নিয়ে নয় বরং ফাইনাল ম্যাচে দলকে জেতানোর বিষয়ে এখন ভাবছেন ওলমো। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে ফাইনালের লক্ষ্য নিয়ে কথা বলেছেন স্প্যানিশ তারকা।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। আজ রোববার রাতে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে স্পেন এবং ইংল্যান্ড। ফাইনালের আগে উত্তাপ ছড়াচ্ছে কথার লড়াই। তবে কার হাতে উঠবে শিরোপা, তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ফাইনালের শেষ পর্যন্ত।
ফাইনালে ট্রফি ছাড়াও দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে লড়াই হবে গোল্ডেন বুট নিয়েও। স্প্যানিশ তারকা দানি ওলমো এখন পর্যন্ত গোল করেছেন ৩টি। সমান সংখ্যক গোল করে নিয়ে সোনালি বুটের দাবিদার হ্যারি কেইনও। ৩টি করে গোল রয়েছে কোডি গাকপো এবং জামাল মুসিয়ালারও। তবে এই দুজন এখন টুর্নামেন্টের বাইরে। তাই কেইন এবং ওলমোর মধ্যেই চলবে লড়াইটা।
গোল্ডেন বুটের লড়াই নিয়ে ওলমো বলেন, 'এই টুর্নামেন্টটা আমার দারুণ কেটেছে। ফাইনালে তা ধরে রাখতে চাই। এটা সত্য আমি এবং কেইন গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে আছি। অন্য ফুটবলার যেমন ফাবিয়ান এবং মোরাতাও এই রেসে আছে। মোরাতা হ্যাটট্রিক করলে সে জিতবে। আমি তাতে খুশিই হবো। যেই গোল্ডেন বুট জিতুক না কেন, আমার কাছে ইউরো জেতাটা গুরুত্বপূর্ণ।'
ওলমো বলেছেন, 'এটা বাড়তি একটি অনুপ্রেরণা। ম্যাচে সেটা হয়ে গেলে বাড়তি পাওনা। কিন্তু আমরা সবাই জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামব। কে গোল করল কে করল না সেটা তখন মুখ্য বিষয় হবে না। আমি বিষয়টি নিয়ে মোটেই ভাবছি না। আমার সবসময়ই চিন্তা থাকে কিভাবে দলের জয়ে সহযোগিতা করব।'
ফাইনাল ম্যাচের আগে অনেকটা সময় পেয়েছে স্পেন। মাঠের অনুশীলনেই এই সময়টা কাটিয়েছেন ফুটবলাররা। শিরোপার মঞ্চে নামার আগে নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছেন কোচের সঙ্গে। ফাইনালের মঞ্চে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, সেটা মাথায় রেখে নিজেদের প্রস্তুত করেছেন ওলমোরা।
\হমেগা ফাইনালের আগে ইংলিশ গণমাধ্যমের আলোচনায় তরুণ ফুটবলার জুড বেলিংহাম। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে করেছেন ২ গোল। বিশেষ করে শেষ ষোলোতে অসাধারণ একটি গোল করে দলের পিঠ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালেও তিনি বড় অস্ত্র হতে পারেন ইংলিশদের। তবে এসব নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন ওলমো।
ওলমো বলেন, দেখুন জুড বেলিংহাম নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সে দলের অন্যদের মতো একজন ফুটবলার। সবার মতো তাকে নিয়েও দলের পরিকল্পনা থাকবে। বিশেষভাবে তাকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।'
নিজে গোল করা ছাড়াও সতীর্থদের গোলে দুটি অ্যাসিস্ট রয়েছে ওলমোর। আরবি লিপজিগের এই মিডফিল্ডার স্পেনের কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তের প্রথম দলের খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হননি। টুর্নামেন্টে সব ম্যাচে তিনি মূল দলে খেলেননি। কিন্তু যখন সুযোগ পেয়েছেন বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে এসে দলকে সহযোগিতা করেছেন। কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়া পেদ্রির স্থানে মাঠে নেমে জয়সূচক গোলদাতা মিকেল মেরিনোকে অ্যাসিস্ট করেছেন। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলও করেছেন। স্পেনের নক আউট পর্বের তিনটি ম্যাচেই তিনি গোল করেছেন।