দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পূর্ব বাজিতপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে নেই চলাচলের রাস্তা। এতে চরম দুর্ভোগে রয়েছে প্রকল্পে বসবাস করা ১৪টি পরিবার।
উপজেলা প্রশাসন বলছে, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছে। এডিবি প্রকল্পে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যাতায়াতের বিষয়টি অগ্রাধিকার থাকলেও দুটি এডিবিসহ টিআর কাবিখার একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও, সেই প্রকল্পের আওতায় আশ্রয়ণের যাতায়াতের রাস্তাটির কোনো প্রকল্পই দেয়নি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান সামেদুল ইসলাম।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের পূর্ব বাজিতপুর এলাকায় সরকারের খাস জমিতে ১৪টি বাড়ি নির্মাণ করেন উপজেলা প্রশাসন। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ওই ১৪টি বাড়ি ভূমিহীনদের হস্তান্তর করা হয়। সেই বাড়িগুলোর সামনের জায়গাগুলো মালিকানা হওয়ায় এবং রাস্তা না থাকার কারণে এখন ওই ১৪টি পরিবার তাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। যদিও তারা জমির আইল দিয়ে বর্তমানে কোনো রকমে যাতায়াত করছেন। কিন্তু এখন বর্ষাকাল তাই ভারী বৃষ্টি হলেই জমির আইলগুলো ডুবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
আশ্রয়ণের বাসিন্দা সবুজ, একরামুল, মিলনসহ অনেকে জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পটিতে চলাচলের রাস্তা না থাকায় জমির আইল দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করতে হয়। বৃষ্টি হলে সেটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। এতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বারবার বলার পরও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
শিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দিলীপ চন্দ্র রায় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, তিনি এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। এজন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের যাতায়াতের রাস্তার বিষয়টি এডিবি প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান পরপর দুটি এডিবি প্রকল্পসহ টিআর কাবিখার একাধিক প্রকল্প গত হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকল্পেই এই রাস্তাটি দেয়নি সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে শিবনগর ইউপি চেয়ারম্যান সামেদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে আগামী প্রকল্পে দেওয়া হবে বলে জানান।
বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, এডিবি, কাবিখা ও টিআর প্রকল্পগুলো সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানগনের তালিকানুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু চেয়ারম্যানরা এ রকম গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো গোপন করায় মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। তবে এবার তিনি এলাকার মানুষের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রকল্প নেবেন বলে জানান।