টানা ১০ দিন ধরে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বিশুদ্ধ পানি ও চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন বানভাসিরা।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে বুধবার দুপুরে বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকার মানুষ চিলমারী উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহিন বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় নয়ারহাট ইউনিয়ন থেকে আসা আছিয়া বেগম, সালমা বেগম, কহিনুর বেগম বলেন, 'বাঁশের মাচান, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখন পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পাইনি। আমরা না খেয়ে মরে গেলে কি ত্রাণ দেওয়া হবে।'
অষ্টমীর চর এলাকার নুর মোহাম্মদ বলেন, 'অকাল বন্যায় সবকিছু ডুবে গেছে। শিশু, বৃদ্ধ ও পশুপাখিদের নিয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। আমাদের মধ্যে চরম খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।'
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুকুনুজ্জামান শাহিন বলেন, 'সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ত্রাণ দুর্গতদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে আরও ত্রাণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। বন্যা দুর্গতরা ত্রাণের জন্য জোর করে আইডি কার্ড জমা দিয়ে যাচ্ছে। নতুন করে বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।'
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, 'এ পর্যন্ত সরকারিভাবে ৬৬ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দকৃত চাল ও নগদ অর্থ পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।'