দিন যতই যাচ্ছে কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকার নদীর পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। পানি যেমন বাড়ছে, তেমনিভাবে ভাঙনও বাড়ছে।
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচরসহ সব কটি উপজেলার হাওড়ের মানুষের অশান্তিও কম নেই। নিম্ন আয়ের মানুষের কোনো কাজ নেই। তারা খুব কষ্টে দিন যাপন করছে। শ্রমিক শ্রেণির মানুষ বন্যার সময় কাজ না থাকলে শহরের দিকে মুখ নেয় কারণ চর্তুদিকে পানি আর পানি। নদীর পাড়ের গ্রামের বাড়িতে না থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে শহরের দিকে চলে যায়। তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোরকম দিন যাপন করে।
এদিকে বাজিতপুর উপজেলার দিঘিরপাড়ের হাসানপুর, পাড়কচুয়া, মাইজচর ইউনিয়নের বাহেরবাউলি, মাইজচর, নিকলী উপজেলার ছাতিরচর, সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি ভরাটিয়ার নিম্নাঞ্চলের বাড়িগুলো ডুবো ডুবো ভাব। অন্য দিকে এই দুই উপজেলায় গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ৬টি প্রকল্পের ১৬২ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা দেওয়ালের জন্য কাজ চললেও আপাতত বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।