নেত্রকোনায় জামাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে গিয়ে আসামি হলেন শ্বশুর
প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা
মেয়েকে পাচার ও হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে এমন মামলা করে ফেঁসে গেলেন শ্বশুর নিজেই। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে নেত্রকোনা পিবিআই পালিয়ে থাকা মেয়ে লিয়া আক্তারকে (২৭) উদ্ধার করেছে। মেয়েকে লুকিয়ে রেখে মিথ্যা মামলা করার ঘটনায় বাদী আব্দুল খালেককে (৬০) আসামি করে জামাই মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার তুরাগ ধউর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে পিবিআই লিয়াকে উদ্ধার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
নেত্রকোনা পিবিআই কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবীর জানান, গত ২৩ এপ্রিল আব্দুল খালেক মেয়ের স্বামী বিদ্যা মিয়া লিয়াকে অজ্ঞাত স্থানে পাচার করে হত্যার পর লাশ গুম করেছে মর্মে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত পিবিআইকে তদন্তভার দিলে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদারের দিকনির্দেশনায় আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে লিয়াকে উদ্ধার করলে মেয়ের জামাইকে ফাঁসাতেই জীবিত মেয়েকে মৃত দেখিয়ে এই হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি উন্মোচিত হয়। ঘটনা উন্মোচনের পর বিদ্যা মিয়া শ্বশুরসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এর পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন বলে জানায় পিবিআই।