অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার

অব্যাহতি চেয়ে গাইবান্ধায় বিআরডিবি কর্মকর্তার আবেদন

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় বিআরডিবি'র হিসাব রক্ষক আনিছুর রহমান ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়কালে ৮১টি চেকে প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকাসহ আরও ৩টি ব্যাংক হিসাব হতে মোট ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাতের বিষয়টি দৈনিক যায়যায়দিন'র মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়। জানা গেছে, অর্থ আত্মসাতের কথা স্বীকার করে অর্থ ফেরত প্রদান সাপেক্ষে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তদন্ত কমিটি বরাবরে স্বহস্তে লিখিত আবেদন করেছেন অভিযুক্ত আনিছুর রহমান। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে ২০ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত বিআরডিবি, গাইবান্ধা জেলা দপ্তরে হিসাব রক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। তার কর্মকালীন তিনি দাপ্তরিক নাম ব্যবহার করে গোপনীয়ভাবে রাকাব, গাইবান্ধা শাখায় একটি ভুয়া ব্যাংক হিসাব খুলে সাবেক উপ-পরিচালক মিজানুর রহমানের জাল স্বাক্ষর করে। বর্তমানে উপ-পরিচালক আবদুস সবুরের সময়কালে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে একটি স্থায়ী আমানত ৯.৭৪ লাখ টাকা উপ-পরিচালকের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে আনিছুর রহমান তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করলে বিষয়টি উপপরিচালকের নজরে আসে। আনিছুর রহমানের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সদর দপ্তরে অবগত করলে ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে আনিছুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করে হবিগঞ্জের লাখাইয়ে সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয় থেকে মিজানুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক ও কর্মসূচি পরিচালককে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সরেজমিনে একাধিকবার এসে বিআরডিবি মহাপরিচালক বরাবর দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন মোতাবেক ১ কোটি ৮৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আনিছুর রহমান কর্তৃক আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার নামে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সুপারিশ করে। উপরোক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমার ৫তলা ভবনটি বিক্রয় করে, আমার বিরুদ্ধে আনীত আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি পরিশোধ করব।' উপপরিচালক আবদুস সবুর জানান, 'আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে রংপুর দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।'