হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ শিবপাসা রোডে খানাখন্দ রেখেই ৩৯ লাখ টাকার সংস্কার কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। এছাড়া রোড মার্কিং ও ট্রাফিক সাইন দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলছে, সিডিউল থেকে বেশি পরিমাণে ঠিকাদারকে কাজ করানো হয়েছে। শুধু রোড মার্কিং ও ট্রাফিক সাইন দেয়ার বাকি।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ শিবপাসা রোডের শূন্য চেইনেজ থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৩০০ মিটার চেইনেজে শিবপাসা পুলিশ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জিওবি মেইনিনেসের আওতায় কাজের দায়িত্ব পান বাহুবলের ঠিকাদার জুনায়েদ ট্রেডার্সের ফারুক আহমেদ। সংস্কার কাজ সমাপ্তি হওয়ার পরপরই রাস্তার গিয়ে দেখা যায় বড় বড় গর্ত। সংস্কার না করেই শিডিউলের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে নামে মাত্র কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, 'শিডিউলে থেকে কাজ বেশি করানো হয়েছে। শুধু রোড মার্ক ও ট্রাফিক সাইন বাকি রয়েছে। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী জানান, গত জানুয়ারি মাসেই কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে বড় বড় গর্ত। রাস্তায় কার্পেটিং ৪০ এমএম করার কথা থাকলেও নামে মাত্র কার্পেটিংয়ের কাজ করেছে। এছাড়া রাস্তার সাইড দিয়ে ছোট বড় ভাঙন রয়েছে। সেগুলোতে একেবারেই কাজ না করে নারী শ্রমিক দিয়ে মাটি দিয়ে ভরাট করে রেখেছে। এতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রস্থ কমে রয়েছে। সড়কে কোথাও রোড মার্কিং বা ট্রাফিক সাইন করতে দেখা যায়নি।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের জাফর ইকবাল বলেন, 'সিডিউলের যে পরিমাণের কাজ ধরা ছিল আমরা ঠিকাদারকে দিয়ে তার চেয়ে বেশি কাজ করিয়েছি। শুধু রোড মার্ক ও রোড সাইন বাকি রয়েছে।'
উপজেলা প্রকৌশলী তানজির উলস্না আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, 'ছয় কিলো রাস্তার মধ্যে ৪২৫ মিটার কাজ ধরা রয়েছে। ভাঙা থাকার কথা না। তাছাড়া ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছে তার বিল দেওয়া হয়েছে।'