কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে ১১ শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
শিক্ষকদের দাবি প্রধান শিক্ষক দুর্নীতিবাজ ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করার চেষ্টা করেন। সবাইকে তিনি হুমকি প্রদান করেন। তার বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক কথা বললে তিনি তাকে চাকরিচু্যত করার হুমকি দেন। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে সভাপতির স্বাক্ষরের পর চেকের টাকার অঙ্ক টেম্পারিং করার অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি টিপু সুলতান তাকে শোকজ করেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কতর্ৃৃক প্রদত্ত অনুদানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, দুই বার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও প্রধান শিক্ষক বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি সময়ে কোন রকম শোকজ ছাড়া বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক শাহিন উদ্দিনকে তিনি সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর ৩০ জুলাই শিক্ষক শাহিন উদ্দিন তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের রেজুলেশন চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির প্রমাণ করেছিলেন সেটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। শাহিন উদ্দিন নামে শিক্ষককে বহিষ্কারের ব্যাপারে বলেন, এটা ম্যানিজং কমিটির সভাপতির কাজ এ ব্যাপারে তার কোন দায় নেই।
অপরদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেজাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষক শাহিন উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধাচারণ করার কারণে তিনি তাকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ করেছেন, যা আইনগতভাবে তিনি পারেন না। কোন রকম শোকজ ছাড়া তিনি সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ করেছেন। প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান তিনি।