নীলফামারীতে শিক্ষক নিহতের ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার
মাদক কারবারিসহ পাঁচ জেলায় গ্রেপ্তার ১০
প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
নীলফামারীতে শিক্ষক নিহতের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার হুমকিদাতা, মাধবপুরে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৩ জন, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গরু চোর চক্রের মূলহোতা, রংপুরে ফেনসিডিলসহ যুবক ও বরিশালে গাঁজাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকালে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ওর্ যাব সদস্যরা। অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
স্টাফ রিপোর্টার, জানান, নীলফামারীর পলস্নীতে জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গত ৪ জুলাই জেলা সদরের চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া ইন্দ্রমোহনপাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সদর থানায় মামলা হলে পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্য়ন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত শিক্ষক ভীষ্মদেব রায় (৬০) ওই গ্রামের মৃত বিপীন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় আহত অপর দুই ব্যক্তিকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ভীষ্মদেব রায়ের ভাতিজা দিবাকর রায় বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন (৩৪), মো. পিয়ারুল ইসলাম (৩০), মো. ফজলে করিম (৬০), মো. আফজাল হোসেন (৩৫), মো. আইয়ুব আলী (৪৮), মো. আজাহারুল ইসলামের (৪৫) নামে মামলা করেছেন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দ্রম্নত তদন্ত শেষ করে দোষী ব্যক্তির বিষয়ে চার্জশিট দেওয়া হবে।
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জ-৪, আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ থেকে হুমকিদাতা সোহাগকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) একটি টিম।
এ বিষয়ে ডিএমপির এডিসি (মিডিয়া) কে এন রায় নিয়তি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হুমকিদাতা সোহাগকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির একটি টিম।
সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তাকে হত্যার হুমকির ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনায় সিটিটিসি ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হবিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুরে চা শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দের টাকা উত্তোলনে ভয় ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার ভোরে থানার এসআই দ্বীন মোহাম্মদ নোয়াপাড়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য বাবুল চন্দ্রর্ যালি (৬০) তার ছেলে লিটনর্ যালি (২৫) ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য দুলাল চন্দ্র ঘোষকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ মাসুদ জানান, নোয়াপাড়া চা শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত বিশেষ অনুদানের ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করতে প্রত্যেক শ্রমিক থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫শ' টাকা করে সদস্য বাবুল ও দুলালসহ ২০/২৫ জন চাঁদা আদায় করে আসছিল। ভুক্তভোগীদের পক্ষে অভি বোনার্জি নামে এক চা শ্রমিক মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানা পুলিশ চোরাই ৫টি গরুসহ চোর চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, মঙ্গলবার পুলিশ গরু চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘ আছড়া গ্রামের আতিকুর রহমান ওরফে আতিক কসাইকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি চোরাই গরু উদ্ধার করে।
রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরে বিপুল পরিমাণে নেশা জাতীয় তরল পদার্থ ফেনসিডিলসহ ফরিদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছের্ যাব। বুধবার রংপুরর্ যাব-১৩ অধিনায়কের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সালমান নুর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত একটার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামে নিজ বাসায় ফেনসিডিল বিক্রির সময় ফরিদুল ইসলামকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১২৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। তিনি ওই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পরে তাকে হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বরিশাল অফিস জানান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) অভিযানে গাঁজাসহ ৪ জন আটক হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ তাদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। বুধবার বিএমপির সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, বিএমপি গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার বিকালে নগরীর শ্রীনাথ চ্যাটার্জী লেনস্থ মিয়াবাড়ীর মাইনুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে ৬৫০ গ্রাম গাঁজাসহ মো. কামাল হোসেনকে আটক করে পুলিশ। একই দিন সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা গ্রাম থেকে ৫৮০ গ্রাম গাঁজাসহ মো. রাকিব মাঝি (২৬) ও আব্দুলস্নাহ (১৯) ও রাতে ৫১৫ গ্রাম গাঁজাসহ রাজ্জাক মোলস্নাকে (৪৫) আটক করা হয়।