'সোনালী আঁশ' পাটের জন্য বিখ্যাত ফরিদপর জেলা। এ বছর ফরিদপুরের সালথায় পাটের উৎপাদনে খরচ বেশি। পাশাপাশি পাটের দাম কম থাকায় হতাশ চাষিরা। পাটের দাম বৃদ্ধি করার দাবি পাট চাষিদের।
জানা যায়, পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। শুরু হয়েছে পাট কাটা ও পাটের আঁশ ছাড়ানো কাজ। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের ফলন অনেক কম। শুরু থেকে অনাবৃষ্টি ও প্রখর রোদে পাট সময়মতো বেড়ে ওঠেনি। যখন পাটের আঁশ মোটা হবে তখনি জোয়াড়ের পানি আসে নিচু জমিগুলোতে। তাই পাট উপযোগী হওয়ার আগেই কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে ফলন কম হচ্ছে। তবে ফলন কম হলেও পাটের খরচ কম হচ্ছে না। আগের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে কৃষকদের। সে তুলনায় বাজারে পাটের দাম রয়েছে ২৫শ' টাকা মণ থেকে ৩২শ' টাকা মণ। মাঝারি ধরনের প্রতিমণ পাট যদি নিম্নে ৪ হাজার টাকা দাম হতো, তাহলে কৃষকরা কিছুটা স্বস্তি পেত। পাটের দাম না বাড়লে কৃষকদের লোকসান গুণতে হবে।
উপজেলার পাটচাষি কাইয়ুম মোল্যা ও আবু বক্কার জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পাটের জমিতে খরচ বেশি। গেল বছরের চেয়ে এ বছর ফলন কম হচ্ছে। বাজারে পাটের চাহিদা কম, সেই সঙ্গে দামও কম। সব মিলিয়ে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকের দিকে তাকিয়ে পাটের দাম বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
পাট ব্যবসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আমরা পাট প্রতিমণ ২৪শ' টাকা থেকে ৩৩শ' টাকা দরে কিনছি। পাটের মান বিভিন্ন রকম। তবে এবার পাটের ফলন কম। পাটের আঁশ পাতলা।'
উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার বলেন, এ বছর সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩শ' হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার মে. টন। বর্তমানে নিচু জমিগুলোতে পানি আসায় পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। সেজন্য পাটের ফলন কিছুটা কম হচ্ছে। আর ১৫-২০ দিন পরে পাট কাটতে পারলে ফলন ভালো হতো। পাট উৎপাদনে এবার যে খরচ তাতে পাটের ন্যায্যমূল্যে হলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।