বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাঙ্গালী নদী ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনে গাছপালা এবং বাড়ির আঙ্গিনাসহ প্রায় ২৫ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ডোমকান্দি গ্রামে বাঙ্গালী নদীতে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বুধবার গভীর রাতে স্থানীয়রা নদী ভাঙনের শব্দ শুনতে পান। তড়িঘড়ি করে গরু ছাগল আসবাবপত্র অন্যত্র সরে নেন। গাছপালা ও বসতবাড়ির আঙ্গিনা নদী গর্ভে বিলীন হয়।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেন স্থানীয়রা। বুধবার সকাল ১১টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দেখা গেলেও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কাজ দেখা যায় নি। বাঙ্গালী নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের অবহেলার কারণে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, শুকনো মৌসুমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি কনস্ট্রাকশন ৫০০ মিটার নদীর তীর রক্ষার কাজ শুরু করে। বাঁধা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবি কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তারা বর্ষার পূর্বে কাজ শেষ করার প্রতিশ্রম্নতি দেন। নদীর গাইড ওয়ালের কাজ করে, বেড ও জিও বিছায়ে রেখে কাজ বন্ধ রাখেন। পরে বর্ষার মৌসুম চলে আসায় বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আফতাব হোসেন দোলা, সুমি খাতুন, বজলু প্রাং, সহিদা বেগম ও আব্দুল হান্নান সরকার জানান, মূলত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের কোনো অগ্রগতি না থাকায় নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে বেশি।
তারা আরও বলেন, এখানে মূল ঠিকাদার কাজ না করে সাব-ঠিকাদার দিয়ে কাজ করায় কাজের কোনো অগ্রগতি পাওয়া যায়নি। সাব-ঠিকাদারের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় আজকের এই নদী ভাঙন কবলে স্বীকার হয়েছি।
এবি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আজম জানান, ডোমকান্দি এলাকায় যোগাযোগের ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ওই জায়গায় বস্নক তৈরি করা সম্ভব হয়নি। অন্য জায়গায় বস্নক তৈরি করে নৌকা যোগে আনতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, 'ইতিমধ্যে ড্রাম পিং, বেড ও জিও বিছানো হয়েছে। নদী ভাঙন রক্ষার্থে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, 'আমাদের হাতে ড্রাম পিং বস্নক ও বস্তা মজুত আছে সেগুলো ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের লোক ওখানে গিয়েছে তারা নৌকা ঠিক করে আজকেই কাজ করবে।'