নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ফিরোজা বাশার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বন্যা বা অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় এক সপ্তাহ যাবত পানিবন্দি। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে পেস্ন থেকে দশম শ্রণি পর্যন্ত ৩৮২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে, শিক্ষক রয়েছেন ১৪ জন।
দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কবিচন্দ্রপুরে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। এর আশপাশে রয়েছে-ছবিলা, কচন্দরা, ভরাপাড়া, আড়ালিয়া, লস্করপুর, নোয়াদিয়া এবং বলাইশিমুল গ্রাম। কম-বেশি সব এলাকা থেকেই পড়তে আসে ছেলেমেয়েরা এই প্রতিষ্ঠানে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পানিবন্দি। তবে স্কুল মাঠে পানি ওঠলেও বন্ধ নেই শিক্ষা কার্যক্রম। মেইন রোড থেকে স্কুল বারান্দায় ওটার রাস্তাটি এক থেকে দেড় ফুট উঁচু হলে ছাত্রছাত্রীদের কষ্ট কিছুটা লাগব হতো। যদিও প্রতিষ্ঠানটির অবকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু কমতি নেই ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখিতা, শিক্ষকদের পাঠ দানের নিরলস প্রচেষ্টা এবং প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের ইতিবাচক মানসিকতা। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ব্যাচের মোট শিক্ষার্থীর ২৬ জন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশনে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পাসের হার ছিল শতভাগ।
বিদ্যায়লয়টির পরিচালক মনোয়ার হোসেন শেখ (রেণু) বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। পাঠদানের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। স্কুলের রাস্তা ও মাঠে পানি ওঠায় খুব কষ্টে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল আলম বলেন, পাঠদানের অনুমতি নেই, অনিবন্ধিত এমন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কিছু করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু তাহের জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বদাই ইতিবাচক। উলিস্নখিত প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।