পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদী সংলগ্ন ইউনিয়ন লক্ষ্ণীকুন্ডা, পাকশী ও সাঁড়ায় রাসেলস্ ভাইপার সাপের আতঙ্কে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার উপজেলার লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে চাষকৃত কলার বাগানে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ে আহত হন রুবেল প্রামাণিক (২৮) নামের এক কৃষক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত রুবেল প্রামাণিক লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়নের কৈকুন্ডা এলাকার রিকাত আলী প্রামাণিকের ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কৈকুন্ডা গ্রামের রায়হান বিশ্বাস জানান, ঘটনার সময় রুবেলসহ বেশ কয়েকজন কলাবাগান পরিষ্কারের কাজ করতে ছিল। এই সময় রাসেলস ভাইপার সাপ কৃষক রুবেলকে কামড় দেয়। তখন তার সঙ্গে থাকা অন্যরা এসে সাপটিকে মেরে ফেলে।
লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেম্বার জিয়াউর রহমান জানান, রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্ণীকুন্ডা, পাকশী ও সাঁড়া- এই তিন ইউনিয়নের পদ্মা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ। তবে এই তিন ইউনিয়নের বেশির ভাগ মানুষকেই কৃষি কাজসহ অন্যান্য কাজের জন্য পদ্মা নদীর চরে কৃষি জমিতে যেতে হয়। কৃষকরা মাঠে কাজে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা করেন। পায়ে পস্নাস্টিকের গাম বুট জুতা পরিধান করেন। হাতের নিকট লাঠি রাখেন। তারপরও ইতোমধ্যেই রাসেলস ভাইপার সাপে লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়নের এক কৃষক মারা গেছেন।
সাঁড়া ইউনিয়নের শিক্ষক শহীদুলস্নাহ খান জানান, ইউনিয়নটি পদ্মা নদীর কুল সংলগ্ন। সাপটি মূলত পদ্মা নদীর পানির সঙ্গে ভেসে আসছে। এরপর ডাঙ্গার ঝোপ-ঝাড় ও গর্তে প্রবেশ করছে। কিন্তু পদ্মা নদী ও বৃষ্টির পানিতে ডাঙ্গা, গর্ত ও ঝোপ-ঝাড়ে পানি উঠে ভরে যাওয়ার কারণে সাপগুলো লোকালয়সহ কৃষি জমিতে উঠে আসছে। প্রতিনিয়তই রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ মেরে ফেলার খবর আসছে। একই সঙ্গে সাপের কামড় মারা যাওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এখন সাপ আতঙ্কে সাড়ার পদ্মা নদীর পাড়ের সকল শ্রেণির মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, 'শুধু রাসেলস ভাইপার সাপই নয়, যেকোনো সাপের কামড় থেকেই সাবধানে থাকতে হবে। সাপে কামড় দেওয়ার পর আতঙ্কিত হওয়া যাবে না। ওঝার নিকট না গিয়ে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যেতে হবে।'