নাটোরের গুরুদাসপুরে চায়না দুয়ারী ও বাদাই জালে অবাধে মা ও পোনা মাছ নিধন করছে অসাধু মৎস্য শিকারিরা। প্রশাসনের নজর না থাকার কারণে প্রতিদিন স্থানীয় বাজারগুলোয় দেখা যাচ্ছে মা ও পোনা মাছ বিক্রি করতে। মাছের পাশাপাশি চায়না দুয়ারী জালের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কাঁকড়া, ব্যাঙ, কুইচা, সাপসহ অধিকাংশ জলজ প্রাণী। এতে ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণী, হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।
জানা যায়, চলনবিল অধু্যষিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা। জোয়ারের পানি খালে ও বিলে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলে চায়না দুয়ারী ও বাদাই জাল পেতে অবাধে মাছ নিধন করা হচ্ছে।
তবে মৎস্য আইনে এ সময় মা ও পোনা মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকলেও মানছেন না কোনো জেলে। উপরন্তু দাম বেশি পাওয়া এবং প্রশাসনের অভিযান না থাকায় চলছে মাছ শিকারের মহোৎসব। এতে শুরুতেই প্রজনন ব্যহৃত হচ্ছে মাছের।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের খুবজীপুর, বিলশা, পিপলা, রুহাই, চাঁচকৈড়সহ পার্শ্ববর্তী তাড়াশ, বড়াইগ্রাম, সিংড়া, ভাঙুড়া এলাকায় মা ও পোনা মাছ শিকার করে প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। জেলেরা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল, চায়না জাল, খৈলশুনসহ বিভিন্ন মাছ শিকারের উপকরণ দিয়ে দিন-রাত মা ও পোনা মাছ শিকার করছে। স্থানীয় বাজারগুলোয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উৎসুক মানুষ অনেক দাম দিয়ে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ কিনছেন।
বিলশা বাজারে সরেজমিন দেখা যায়, প্রতি কেজি টাঁকি মাছের পোনা বিক্রি হচ্ছে ১৪শ টাকা কেজি, টেংরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, মোয়া মাছ প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা এবং ডিমওয়ালা বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে।
চলনবিল রুহাই গ্রামের সামিউল করিমসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, 'প্রতি বছর বর্ষার পানি চলনবিলে আসা শুরু করলেই ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধন শুরু হয়। এ সময়টা মাছ ধরার জন্য মৎস্য আইনে নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলো তোয়াক্কা না করেই চলছে মাছ শিকার।'
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, অতি দ্রম্নত চলনবিলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ছাড়া ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।