নির্মাণের ১৯ বছর পার হলেও চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ না করে নতুন করে মোটর সাইকেলে ৫ টাকা করে টোল চালু করায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার থেকে চাঁদপুরের মোটর সাইকেল চালকরা আন্দোলন শুরু করলেও শনিবার থেকে সাধারণ যানবাহন চালকরা একত্র হয়ে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়কের গাছতলা এলাকায় বিক্ষোভ করেন।
পরে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ক্ষুব্ধ মোটর সাইকেল চালক নাজমুল হাসান বলেন, 'দীর্ঘ বছর ধরে এই সেতুর টোল আদায় বন্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে জাতীয় সংসদেও একাধিকবার টোল বন্ধের দাবি তুলে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তা বন্ধ না করায় সবাই বিক্ষোভে ফেটে উঠেছেন।' চাঁদপুর বাগাদী এলাকার জাকির হোসেন হিরু বলেন, 'আমরা এই সেতুতে আর কোনো প্রকার টোল আদায় হোক চাই না। এ টোল বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।'
জানা গেছে, ২০০৫ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর ওপর চাঁদপুর-লক্ষ্ণীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় 'চাঁদপুর সেতু'। ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। চাঁদপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারুফ হোসেন বলেন, 'এই সেতুতে টোল আদায়ে সব সময়ের মতো এবারও তিন বছরের ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা টোল না দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করলেও তারা কোনো প্রকার স্মারকলিপি বা চিঠি দেননি। তবে এর আগে চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম শামছুল হক ভূইয়া টোল বন্ধের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।'