হবিগঞ্জের লাখাইর বিস্তীর্ণ হাওড় এখন বাণের পানিতে টুইটুম্বুর। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দিনদিন বাড়ছে জলাশয়। বর্ষায় পানিতে সাপসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কীটপতঙ্গের আনাগোনা বৃদ্ধি স্বাভাবিক হলেও দেশব্যাপী এখন আতঙ্ক আর আলোচনায় বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে মফস্বলের জনপদ লাখাইর পলস্নীতে রাসেলস ভাইপার নিয়ে চলে নানা আলোচনা। উপজেলায় রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি নিয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য না থাকলেও বন্যার পানি বাড়ায় এলাকায় দেখা দিতে পারে সাপের উপদ্রপ। বিশেষ করে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি বাড়িঘরের সাপের উপদ্রম্নপের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিশু জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলার কোথাও রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়দিন আগে উপজেলার কালাউক বাজারের অদূরে একটি বিষহীন সাপ দেখা গেলে সাধারণ লোকজন এটাকে রাসেল ভাইপারস বলে গুজব ছড়ায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, গতকয়দিনে ঢল আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতোমধ্যে উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওড়ের জমি ও নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ায় বাড়ির ঝোপঝাপে সাপের বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয় ওষুধের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বাড়ার সঙ্গে বাড়তি সতর্কতার জন্য লোকজন কার্বলিক এসিড কিনছেন বাড়িঘরে রাখার জন্য।
জানা যায়, ওই এসিডের গন্ধকে ভয় পায় বিষধর সাপ। এদিকে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় 'এন্টিভেনম' লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। উপজেলা স্বস্থ্য কমপেস্নক্সে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে 'এন্টিভেনম'।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইছও) কাজী শামসুল আরেফিন জানান, বিষধর সাপের হাত থেকে বাঁচতে বসতবাড়ির ঝোপঝার পরিষ্কার রাখতে হবে। সেই সঙ্গে অন্ধকারে চলাচল করা যাবে না, বিষধর সাপ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালক্ষেপণ না করে দ্রম্নত নিকটস্থ হাসপাতাল কিংবা মেডিকেল কলেজে যেতে হবে। কোনোভাবেই ওঝা কিংবা কবিরাজের খপ্পরে পড়ে রোগীর জীবন বিপন্ন করা যাবে না।